#teamseas October ICC 2022
সেন্ট মার্টিন থেকে তিন দিনে সরানো হলো ২০৫ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য
টেকনাফ, কক্সবাজার
প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে পর্যটকেরা দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে এসে ফেলে যান নানা রকমের ময়লা-আর্বজনাসহ প্লাস্টিক বর্জ্য। সঙ্গে যোগ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যও। অপচনশীল এসব প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে হুমকিতে পড়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ। এ জন্য মৌসুম শুরুর আগেই সেন্ট মার্টিন সমুদ্রসৈকত আর লোকালয়ের যত্রতত্র পড়ে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশের সদস্যরা।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে গত সপ্তাহে টানা তিন দিন সেন্ট মার্টিনের প্রতিটি অলিগলি ও সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে কাচের বোতল, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, আচারের প্যাকেট, পলিথিন, ক্যান, চায়ের কাপ, স্ট্র, বিস্কুটের প্যাকেটসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য (ময়লা-আবর্জনা) সংগ্রহ করেন কেওক্রাডং বাংলাদেশের সদস্যরা। এ কাজে প্রতিদিন ৫০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
তিন দিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে স্বেচ্ছাসেবীরা সেন্ট মার্টিন থেকে ৬ হাজার ৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করেন। এরপর ২০৫টি বস্তায় ভর্তি করে এসব বর্জ্য ট্রলারে করে টেকনাফে নেওয়া হয়। বর্জ্যগুলো ইউনিলিভার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-ইপসাকে দেওয়া হয়।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, সামুদ্রিক আবর্জনা বা মেরিন ডেবরিজ বর্তমান দুনিয়াতে বহুল আলোচিত। এর মূল কারণ, সামুদ্রিক আবর্জনা থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বা মাইক্রোফাইবারের মতো ক্ষতিকর কণা পরিবেশের সঙ্গে মিশছে। এসব কণার উপস্থিতি মানবদেহে, রক্তে, মলে এমনকি মাতৃদুগ্ধেও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভৌগোলিক কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য হয় জলাধার। সেন্ট মার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে আনা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগরে।
Link of the news : https://www.prothomalo.com/bangladesh/r2iu3kr63n
PDF : PA_সেন্ট মার্টিন থেকে তিন দিনে সরানো হলো ২০৫ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য প্রথম আলো
সেন্ট মার্টিন থেকে ৬৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সরালেন স্বেচ্ছাসেবীরা
এসব বর্জ্য প্লাস্টিকের প্রকারভেদে আলাদা করে রিসাইক্লারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Updated : 16 Oct 2022, 08:34 PM
প্রতি বছরের মতো এবারও বঙ্গোপসাগরের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই ছয় হাজার ৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সরিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
১০ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা তিন দিন সেন্ট মার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানান ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে নেতৃত্ব দেয় ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সংগঠনটির স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, প্রতিবছর হাজার হাজার পযর্টক প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে এসে ফেলে যান নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য। সঙ্গে যোগ হয় স্থানীয়দের ব্যবহারিত বিভিন্ন পলেথিন বর্জ্য।
অপচনশীল এসব প্লাস্টিক বর্জ্যের ভারে হুমকিতে পড়েছে ছোট্ট এই দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি। ভ্রমণ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে সেন্ট মার্টিনের সমুদ্র সৈকত আর লোকালয়ের যত্রতত্র পড়ে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য সরানোর কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশের সদস্যরা।
বর্জ্যগুলো সেখান থেকে ট্রাকযোগে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। প্রথমে প্লাস্টিকের প্রকারভেদে আলাদা করে চট্টগ্রামে অবস্থিত রিসাইক্লারদের কাছে হস্তান্তর করে এবং এর রিসাইক্লিং নিশ্চিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনো জলাধার হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আর সেন্ট মার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।
সেন্টমার্টিনে ৬৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০২২ ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২ ০৯:০৮ এএম
প্রতি বছর বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায় সৌন্দর্য হারাতে বসেছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। যত্রতত্র ফেলে যাওয়া এসব বর্জ্য কুড়িয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশের ৬২ জন স্বেচ্ছাসেবক। গত ১০ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনে তারা অপসারণ করেন ৬৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, তারা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সেন্টমার্টিনের প্রতিটি অলিগলি ও সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ও পলেথিনসহ নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করেন।
জানা যায়, কেওক্রাডং বাংলাদেশ ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওশান কনজারভেন্সির বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোকাকোলা বাংলাদেশের সহযোগিতায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।
কেওক্রাডংয়ের স্বেচ্ছাসেবীরা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ২০৫টি বস্তায় ভর্তি করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে নিয়ে আসেন। এর পর ইউনিলিভার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তায়নকারী সংস্থা ইপসা- এ বর্জ্যগুলো কেওক্রাডং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বুঝে নেন। বর্জ্যগুলো সেখান থেকে ট্রাকযোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যান। সেখানে বর্জ্যগুলোকে প্লাস্টিকের প্রকারভেদে আলাদা করে চট্টগ্রামে অবস্থিত রিসাইক্লারদের কাছে হস্তান্তর করেন।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, সামুদ্রিক আর্বজনা বা মেরিন ডেবরিজ বর্তমান দুনিয়াতে বহুল আলোচিত। এর মূল কারণ হিসেবে মেরিন ডেবরি থেকে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক বা যে কোনো ধরনের প্লাস্টিকের কণা সামুদ্রিক পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। তাতে আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলায় প্লাস্টিকের উপস্থিতি, মানবদেহে, রক্তে, মলে এমনকি মাতৃদুধেও প্লস্টিকের অস্বিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এর ভয়াবহতার পরিমাপ আমাদের এখনো পুঙ্খানুপঙ্খভাবে করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যে কোনো জলাধারে হয়ে থাকে। আর সেন্ট মার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখ-ে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এ দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে বা পরে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।
সেন্টমার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব হবে। আগামীতে সেন্টমার্টিনে এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করলে দ্বীপের পরিবেশের জন্য উপকার বয়ে আনবে।
Link of the news : https://www.dainikamadershomoy.com/post/401818
PDF: AMADER_SHOMOY_সেন্টমার্টিনে ৬৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ – Dainik Amader Shomoy