Hillary Tribute Ride | III | 2010


Year: 2010
Hillary Tribute Ride # 03
Route : Barishal to Khulna via Bagergat.
Ridemate :  Ken, me, Salman, Juwel, Shajib, Salma, Raian, Mamun, Tonmoy, Moon, Ujjal, Mona


Every year a group folks I know organize what they call the Hillary Ride. The ride pays tribute to Sir Edmond Hillary who died at the age of 88. So each year around this time they go out a cycle 88+ km. This year we cycled 150 km.

The trip started by meeting up at Sagarhat ferry terminal where we caught an overnight boat to Barishal. The trip got under way at 9:30 after getting the bikes and people loaded on the ferry. That night we ate, drank and joked around until 1am. Eventually made my way to the roof of the boat with my pad and sheet and slept out behind an ac unit by myself out in the open. I woke once I heard a lot of commotion down below in the dull morning light. 4am was way to early and my head was pounding.

I climbed down the side of the boat and back on to the passenger deck and prepared to pack up. We unloaded the bikes and gear, did some last minute repairs on the dock and finally got under way at 6 am. We saw just a bit of Barishal as we left town, then it was clean air, open roads and green fields.

Shortly into the ride we met ‘Bangladeshi Cyclist’ who was on a tour of all 64 districts in Bangladesh. He rode with us for a bit and seemed like he was having a good time out on the road. Eventually we parted paths then the rest of day was spent riding quiet road, occasionally taking off the road and doing some exploring or playing around on my bike.

That evening we spent camped out at a village municipal building near a river. We spent some time doing some repairs, eating dinner and swimming. It was super relaxing. During the course of the evening one rich Bangladeshi guy invited us over to his house, I was the only to join. His place was crazy, the guy had spent 1.5 million dollar home there. It was complete with pictures of the family with various famous people like Arnold Swatzerneger. On the compound, was three large building and huge hall for functions, they wanted to build a helicopter landing pad. It is just so bizarre sometimes to see such poverty and then to see juxtaposed with enormous wealth. I quickly joined my friends once again and we walked into the village for some Duy (sweetened yougurt).

That night I slept well, I had been hurting that day and all I wanted was to sleep, which I did right in the middle of the group. The next day was more of the same pedaling through beautiful scenery. We stopped in Bagarhat (a world hertiage site) to see some ancient mosques and to grab some lunch. Eventually hit the road and made it to Khulna, the end of the trip, sort of.

The afternoon spent cleaning up, eating and restngi from long and hot journey. That night we caught an overnight bus back to Dhaka and arrived almost in time for work.

It was a fun trip and I can’t wait to do it again sometime.





যাব যাব করে জানুয়ারির পর আরো দুই মাস পার হয়ে গেল। এই সমস্যা তো সেই সমস্যা, আর যখন কোনো প্রবলেম থাকে না, তখন কারো না কারো পরীক্ষা। আবার সে না গেলে ও যাবে না, ও না গেলে আমি যাব না ধরনের ব্যাপার। আমাদের অভিযানপ্রিয় দলে কেওক্রাডংয়ে এমনটা হয় প্রায়ই, আবার হঠাৎই ‘চলো বাহে’ বলে ছোটা শুরু হয়।
এবার ৮ এপ্রিল আমাদের ছোটার দিন। প্রথমে যেতে হবে সদরঘাট। ঘুম কুমার তন্ময়কে তুলতে হবে মণিপুরিপাড়া থেকে, পাকা রাইয়ানকে রাজাবাজার থেকে। উজ্জ্বল ভাই আসবে হাতিরপুল হয়ে, সাগর ভাইয়ের কাছ থেকে সাকিল ভাইয়ের সাইকেল নিয়ে। ম্যালা মানুষ এবার। মোহাম্মদপুরের সালমা আপা, উত্তরার মুন, বেগমবাজারের মামুন আর জুয়েল, ওয়ারীর সালমান। আরো যাচ্ছে গুলশান থেকে আমেরিকান কেন_যেন ঢাকা শহরের সব থানার প্রতিনিধি সম্মেলন হতে যাচ্ছে এই ট্রিপে।
সোয়া ৮টায় লঞ্চ, সেই মোতাবেক সাড়ে ৭টার মধ্যে সবারই হাজিরা দেওয়ার কথা। কিন্তু কোথায়? আমরা কজন জটলা করে অপেক্ষা করতে থাকলাম সদরঘাটের সদর দরজার সামনে। আসে না আসে না। ‘ওই, তোর কী হইচে, বেগমবাজার থেইকা আইতে এত টাইম লাগতাছে ক্যান, লঞ্চ যে ছাইড়া দিল!’ ফোনে মামুনকে ঝাড়লাম। ‘দোসতো আমি রিশকায়, কও, কী করুম…সামনের চাক্কা ফাইট্টা গেছিলো গা, এবার পিছেরটা লিক হইছে!’ রেকর্ড বাজিয়ে দিল মামুন। কিছুই বলার নেই। মক্কার হাজি হজ পায় না, ঢাকার পোলা ইজতেমা পায় না।
১৩ জনের মধ্যে দুজন বাকি, যারা সবচেয়ে কাছে থাকে। ‘দ্বীপরাজ’ যখন ছাড়ে ছাড়ে, তখন সাইকেলসমেত জুয়েলকে টেনে তুলতে দেখলাম। ভোঁ শব্দ তুলে পাশের দুই লঞ্চের চিপা থেকে অনেক লড়াই-সংগ্রাম করে বের হয়ে এল দ্বীপরাজ। কেনের মুখ থেকে এমেজিং শুনে না হেসে উপায় থাকল না। শেষ পর্যন্ত মামুন মিসিং। তবে খবর পাওয়া গেল, বুদ্ধি করে সাড়ে ৯টার লঞ্চ ধরে ফেলেছে সে। গুড।
এডমুন্ড হিলারি (২০ জুলাই ১৯১৯_১১ জানুয়ারি ২০০৮) ৮৮ বছরে মারা গেলেন ২০০৮-এর জানুয়ারিতে। মৌমাছি পালক থেকে ‘স্যার’ উপাধি পেতে মানুষটিকে কষ্টও করতে হয়েছিল বেশ। তিনিই প্রথম এভারেস্টের শিখরে আরোহণ করেন ১৯৫৩ সালে। তাঁকে উৎসর্গ করে আমরা ২০০৮ থেকে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন পথে আয়োজন করি স্যার এডমুন্ড হিলারি ট্রিবিউট রাইড ৮৮ কিলোমিটার।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেল চালানো হলেও বরিশালের দিকে হয়নি কখনো। মনে হয়, মৌসুম না বলে লঞ্চে ভিড় কম। তবে একেবারে কম নয়। লোয়ার ডেক, মিডল ডেক (এখানেই আমরা ছিলাম) আর আপার ডেকেও তো মানুষ। সাইকেল নেওয়ার জন্য বাসের চেয়ে লঞ্চ অনেক ভালো_এটা বলা যায় বিনা দ্বিধায়। সারা রাতের ভ্রমণে কিছুটা ক্লান্ত সবাই। তবে ভোরের আলোর সঙ্গে হালকা বাতাসে সবাই চাঙ্গা হয়ে উঠল। বরিশাল তখনো ঘুমে। সুবেহ সাদিকে লঞ্চের ছাদের ওপর নামাজের আয়োজন আমাদের মনে করিয়ে দিল, পথে নামার সময় হয়ে গেছে।
এনার্জি প্লাস বিস্কুটের এনার্জিই ভরসা। গত রাতে লঞ্চের ডাল-চচ্চড়ি না কাল হয়ে দাঁড়ায়! মামুনের সাইকেলের টিউব পাল্টানো হলো। নতুন হেলমেট সজীব ভাইকে এগিয়ে দিলাম। এবার সবাই রেডি, বেরোলাম আমরা। শহর পেরোতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। গাছের রং পাল্টে গেছে বেশ। কোথাও গাঢ় সবুজ, কোথাও বা কাঁচা সবুজের সমারোহ, দারুণ ভালো পাকা রাস্তা। আর দুই পাশে শোল্ডার থাকায় সাইকেল চালানোর সময় স্বস্তি পাওয়া যায়। রোদের তেজ তখনো চড়া হয়নি। তাই সহজেই এলাম ঝালকাঠি। সকালের নাশতা এখানেই। গরম গরম পরাটা আর সঙ্গে বেগুন ভাজি, খেতে সুস্বাদুই।
পিরোজপুরে যেতে হলে ডানে বাঁক নিতে হবে। রাস্তাটা দারুণ, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। গাবখান ব্রিজের নিচে আমরা বাইপাস নিলাম। মজার বিষয় হলো, একটা গাড়িও নেই। খালি আমরাই আমরা আর ঝাঁজালো রোদ! মাঝদুপুরে ফেরি পারাপারের সময় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। তাই বিকেলের আগেই হাত-পা ছড়িয়ে দিলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসঘরের সামনের ঘাসে মোড়ানো জায়গাটায়। এখানেই তাঁবু গেড়ে রাত গুজরানোর ইচ্ছা। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সব পরিষ্কার করে দিলাম_কেন আমরা, কিসের জন্য আমরা। তাই আর ঝামেলা পোহাতে হলো না।
আজ ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে খুলনা যাওয়ার ইচ্ছা। তবে আজকের পথ কিছু বেশি। পরিকল্পনামাফিক ৮৮ কিলোমিটারে এসে সবাই একত্র হলাম। সামান্য বিরতি, গল্প-আড্ডা, হিলারিকে স্মরণ করা, শেষে বাগেরহাটের দিকে। পথটা শক্ত মনে হলো শুধু গরমের জন্য। বেলা ১১টার দিকে যখন মসজিদে পেঁৗছে গেলাম, তখন সবার মতো আমারও প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। মসজিদের ঠিক উল্টো দিকের টিনশেডের হোটেলে খেতে গিয়ে আবার ধুন্ধুমার অবস্থা। শিঙ্গাড়ার জন্য যে আলুর সবজি রেখে দিয়েছে, তার দিকেই ঝোঁক সবার। অগত্যা পুরো এক গামলা আলু-সবজি নিয়ে নেওয়া হলো। সঙ্গে আনলিমিটেড মিষ্টি। নে, এবার খা। পরে দল বেঁধে মসজিদের সামনের বিশাল গাছের ছায়ায় শুয়ে শুয়েই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট দেখায় মন দিলাম। বাড়তি শক্তি খরচ করার সাহস পেলাম না।
খুলনা এখান থেকে ১৮ কিলোমিটার হওয়ার কথা, মাইলফলক তো তা-ই বলে; কিন্তু গোপালগঞ্জ যাওয়ার ডাইভারশন রোডের কাছে মাইল মিটার মতে, খুলনা ছয় কিলোমিটার আর বড় সাইনবোর্ডে ১৪। বুঝলাম না বা অধিক গরমে মাথায় নেওয়ার সুযোগও পেলাম না।
বিকেল ৩টার দিকে আমরা পেঁৗছে গেলাম খুলনা সার্কিট হাউসে। মোট ১৩৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শেষ হলো আমাদের তৃতীয় হিলারি রাইড। হিলারির উদ্যোগে এভারেস্ট অঞ্চল তথা সলোকম্ভুতে শেরপা জনগোষ্ঠীর জন্য স্কুল, হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। তাঁর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফসল হিমালয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আজ অবধি সলোকম্ভুর মানুষ সুবিধা পেয়ে আসছে। এমনই এক অভিযাত্রার জন্য আমাদের প্রতিবছরের উদ্যোগ ‘হিলারি রাইড+৮৮ কি.মি.’।

Leave a Reply